আনন্দ খবর ডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রবিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় শহর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো। এর আগের ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরুর কথা ছিল।
কারফিউ হচ্ছে একটি বিশেষ আইন, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। এটি সাধারণত জরুরি অবস্থায় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জারি করা হয়।
বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এই কারফিউ জারি করেছে।
কারফিউর ফলে ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় শহর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে মানুষের চলাচল সীমিত থাকবে।
কারফিউ চলাকালে নিরাপদে থাকতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন:
অনেকেই মনে করেন, কারফিউ জারি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। তবে কিছু মানুষ এর বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন। তাদের মতে, এটি সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর।
কারফিউ কতদিন চলবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী এর মেয়াদ বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।
বাংলাদেশে কারফিউ জারি হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে কারফিউ জারি হয়েছে। যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি।
কারফিউ ছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন:
কারফিউ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। তবে এটি সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা কষ্টকর হতে পারে। তাই সবাইকে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করতে হবে।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সরকার কারফিউ জারি করেছে।
কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।
ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় শহর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে কার্যকর হবে।
কারফিউ সময় জনসাধারণের চলাচল, সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ।