আনন্দ খবর ডেস্ক প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
অনির্দিষ্টকালের জন্য সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
Credit: www.somoynews.tv
রোববার (৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধের তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৫ আগস্ট (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের সব বিচারিত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে দেশের প্রধান বিচারপতি যেকোনো আদালত ও ট্রাইব্যুনালকে বিচারকার্য পরিচালনার আদেশ দেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত থাকবেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিচার প্রার্থীরা এক প্রকার অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ জনগণ এই সিদ্ধান্তকে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় গ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, আবার কেউ কেউ বলছেন এটি বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।
আইনজীবীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এটি একটি সঠিক পদক্ষেপ, আবার কেউ কেউ বলছেন এটি বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা সৃষ্টি করবে।
বিচার ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিন্তিত অনেক মানুষ। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিচার প্রার্থীরা হয়তো দীর্ঘ সময় বিচার পেতে দেরি করবেন।
সমাধানের উপায় হিসেবে অনলাইন বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করা যেতে পারে। এতে বিচার প্রার্থীরা ঘরে বসে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
Credit: www.businessinsiderbd.com
অনির্দিষ্টকালের জন্য সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত বন্ধ থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় একটি প্রভাব ফেলবে। তবে, এটি একটি সাময়িক পদক্ষেপ এবং আশা করা যায় যে, এটি শীঘ্রই সমাধান হবে।
এই বিষয়ে আরও জানতে, অনুগ্রহ করে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
অবস্থার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে।
৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত।
প্রধান বিচারপতি যেকোনো আদালতকে বিচারকার্য পরিচালনার আদেশ দিতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টসহ সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল।