আনন্দ খবর ডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট, ২০২৪, ১২:০৮ এএম
সম্প্রতি বাংলাদেশের এক জাতীয় দৈনিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন ডিবি হারুন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন।
হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবদুল হাসেম ও মা জহুরা খাতুন। হারুনের প্রয়াত পিতা আব্দুল হাসেম ঘাগড়া বাজারে চালের ব্যবসা করতেন এবং হাওরের সেচ প্রকল্পেও শ্রম দিতেন।
জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় যে, হারুন অর রশীদ তার বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে বিসিএস চাকরিতে প্রবেশ করেছেন। তাঁর বাবা আসলে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে হেফাজতে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর হারুন অর রশীদ আবার আলোচনায় আসেন। এই ঘটনার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, হারুনের বাবা আবদুল হাসেম আসলে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ঘাগড়া বাজারে চালের ব্যবসা করতেন এবং হাওরের সেচ প্রকল্পেও শ্রম দিতেন।
বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি প্রাপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা এই কোটার আওতায় বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহারের মাধ্যমে এই কোটার অপব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
হারুন অর রশীদ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে তিনি আইনত অপরাধ করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অপব্যবহার করার অপরাধে হারুনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এই ঘটনার পর সমাজের বিভিন্ন স্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মানুষ এই ধরনের প্রতারণামূলক কাজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অপব্যবহার করা মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা।
প্রশাসনের উচিত এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি প্রাপ্তির ঘটনা সমাজে একটি বড় সমস্যা। এই ধরনের প্রতারণামূলক কাজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। হারুন অর রশীদের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের সমাজে এখনও অনেক প্রতারণামূলক কাজ চলছে।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন ডিবি হারুন
হারুন অর রশীদ একজন ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবার নাম আবদুল হাসেম।