আজাহারুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট, ২০২৪, ০১:০৮ পিএম
২০১০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিশাল কারসাজি ঘটে। এই কারসাজিতে জড়িত ছিলেন কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং ব্যাংক। তারা পুঁজিবাজারকে কৃত্রিমভাবে উত্থিত করেন। এই কারসাজির ফলে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন। বাজারে অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। সরকারের হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে কিছু সংশোধনী আনা হয়। কিন্তু এই ঘটনা দেশের পুঁজিবাজারে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পেতে অনেক সময় লেগেছে। এই ঘটনার পর পুঁজিবাজারে নিয়মিত তদারকির প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিশাল কারসাজির ঘটনা ঘটে। এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলে। এই কারসাজির পেছনে কারা ছিল তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের শুরু ১৯৫৪ সালে। তখন এটি পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ নামে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতার পর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ রাখা হয়। শুরুতে পুঁজিবাজার ছিল ছোট। ধীরে ধীরে বাজার বড় হতে থাকে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ বেড়ে যায়। অধিকাংশ মানুষ বিনিয়োগে ঝুঁকে পড়ে। বাজার দ্রুত ওঠানামা করতে শুরু করে। কিছু অসাধু ব্যক্তি এই সুযোগকে কাজে লাগায়। তারা বাজারে কারসাজি করে নিজেদের লাভবান করে।
২০১০ সালের কারসাজির ঘটনায় বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ জড়িত ছিল।
এই কারসাজি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল ভীষণ ক্ষতিকর। অনেকেই তাদের সঞ্চয় হারায়। এই ঘটনা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেয়।
Credit: www.bbc.com
২০১০ সালের পুঁজিবাজারে কারসাজি ছিল একটি বড় ঘটনা। এই কারসাজিতে মূল খেলোয়াড়রা ছিল নানা প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। চলুন জানি কারা ছিল এই কারসাজির পেছনে।
বড় বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানগুলো এই কারসাজির মূল খেলোয়াড় ছিল। তারা বাজারে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছিল।
রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও এই কারসাজিতে জড়িত ছিল। তাদের প্রভাব বাজারে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিল।
এই কারসাজির ফলে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এটি বাজারের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলেছিল।
২০১০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে একটি মারাত্মক কারসাজি ঘটে। কারসাজির কৌশল ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা যাক। এই কারসাজির পেছনে অনেকেই ছিল এবং বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হয়।
মূল্য প্রভাবিত করার জন্য কারসাজিকারীরা কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করেছিল।
মিথ্যা তথ্য ছড়ানোও কারসাজির একটি প্রধান কৌশল ছিল।
এই কৌশল ও পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে কারসাজিকারীরা পুঁজিবাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বিশাল কারসাজি হয়েছিল। এই কারসাজিতে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার ভূমিকা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই সংস্থাগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সংক্ষেপে বিএসইসি, পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের কারসাজি নির্ধারণে বিএসইসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিএসইসি বিভিন্ন নিয়ম ও বিধি প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করে। বিএসইসি অস্বাভাবিক শেয়ার লেনদেন তদারকি করে। তারা নিয়মিত অডিট ও তদন্ত পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পুঁজিবাজারে কারসাজি নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তারা ব্যাংকিং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে। ব্যাংকিং লেনদেনের অস্বাভাবিকতা নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত পরিচালনা করে।
২০১০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক কারসাজি হয়েছিল। এই কারসাজির প্রভাব ছিল অনেক গভীর। এই লেখায় কারসাজির প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে।
২০১০ সালের পুঁজিবাজারের কারসাজির ফলে বিনিয়োগকারীরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অনেক বিনিয়োগকারী তাদের সঞ্চিত অর্থ হারিয়েছেন।
অনেকের জীবনজীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়।
এই কারসাজির ফলে দেশের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।
বিদেশী বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারায়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যায়।
কারসাজির প্রভাব | বিবরণ |
---|---|
বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি | : অর্থ হারানো, হতাশা, আস্থা নষ্ট |
অর্থনীতিতে প্রভাব | : বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট, বিনিয়োগ কমে যাওয়া |
২০১০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের কারসাজি ঘটে। এই কারসাজির ফলে বাজারে বিশাল পতন ঘটে। এই বিপর্যয়ের পর আইনগত ব্যবস্থা ও তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় বের করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। নিচে আইনগত ব্যবস্থা ও তদন্তের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
২০১০ সালের পুঁজিবাজার কারসাজির পর সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটি মূলত বাজারের পতনের কারণ খুঁজে বের করার দায়িত্ব পায়। কমিটি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণ করে। তাদের প্রতিবেদনে কারসাজির পেছনে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত ব্যবস্থা নেয়। আদালত কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিচার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। আদালত কঠোর শাস্তি প্রদান করে দোষীদের বিরুদ্ধে।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে নতুন নিয়ম ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এর ফলে ভবিষ্যতে এমন কারসাজি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে কারসাজি প্রতিরোধে করণীয় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই পদক্ষেপগুলো পুঁজিবাজারকে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য রাখতে সহায়তা করবে। নিচে আমরা এ বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করবো।
পুঁজিবাজারে কারসাজি প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব।
পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে নিয়ম ও নীতি সংশোধন অত্যন্ত জরুরি। এ নিয়ম ও নীতি সংশোধনের মাধ্যমে বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
নিয়ম | নীতি |
---|---|
পুঁজিবাজারে কারসাজি প্রতিরোধ আইন | : বাজার নিয়ন্ত্রণ নীতি |
নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ | : বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নীতি |
এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কারসাজি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে কারসাজিতে জড়িতদের নিয়ে অনেক আলোচনার জন্ম হয়। তাদের ভূমিকা এবং বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ বিষয়ে জানতে গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরেছে। নতুন নিয়ম ও নীতিমালা কার্যকর হয়েছে।
বাজারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কঠোর পর্যবেক্ষণ করছে। অনেকেই বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন।
ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
উন্নত নীতিমালা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাজারকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।
এদিকে, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ সুযোগে কারসাজি চক্র হাজার হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। সোমবার (১২ আগস্ট) ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত পুঁজিবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় পুঁজিবাজার পুনর্গঠনে মোট ৩০টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ বছর বিএসইসি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ২০০৯-২০১০ সালে পুঁজিবাজারের পতনের পর লাখ লাখ বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে পথে বসে যান। শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ প্রদানকারী বহু প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যায়। এরপর থেকে বাজার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় বারবার ক্ষতির মুখে পড়ে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়ে চলে যান। বাজার পতনের কারণ ও দোষীদের খুঁজে বের করতে তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে আসা বাজার কারসাজিতে জড়িত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আজও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে সেই কারসাজি চক্র আরো সক্রিয় হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ বছর পর্যায়ক্রমে এম খায়রুল হোসেন ও শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা থেকে এসে এই পদে আসীন হন। এই দীর্ঘ সময়ে তাদের অপেশাদার এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে বাজারের কোনো উন্নতি হয়নি, বরং বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে এসে পৌঁছায়।’
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিএসইসির দুই চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম ও শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বেশকিছু অনিয়ম করেছেন। বিভিন্ন কোম্পানিকে মানহীন আইপিও অনুমোদন, রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে ২ সিসির মাধ্যমে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, ওটিসি মার্কেট থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোকে ক্ষমতা অপপ্রয়োগ করে এসএমই মার্কেটে আনা এবং ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বাজারকে স্থবির করে রাখা হয়েছিল।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ডিএসই, সিএসইসহ সিডিবিএল ও সিসিবিএলের পর্ষদে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমন ব্যক্তিদের এখনো উপস্থিতি রয়েছে। তাদের অনভিজ্ঞতা ও অদূরদর্শিতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। আমরা দাবি জানাই, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের সরিয়ে যোগ্য এবং অভিজ্ঞ পেশাদার ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফের সংগঠিত করা হোক।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়েছে, যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি তৎকালীন সরকারের নির্দেশে গঠিত হয়েছিল এবং বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের টাকা তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার দাবি জানাই এবং যাদের অর্থ নেওয়া হয়েছে, তাদের অবিলম্বে তা ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিদেশে রোড শো আয়োজন করেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ছিল। প্রতিটি রোড শোর শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’ সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএর পক্ষে থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবগুলো হলো- বিএসইসির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের চাপে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার ট্রেক ১ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আনুমানিক ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা হারিয়েছে। যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ ছাড়া ডিএসই, সিএসইসহ সিডিবিএল ও সিসিবিএলের পর্ষদে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের এখনো উপস্থিতি রয়েছে। তাদেরও পদত্যাগ দাবি করে সংগঠনটি।
২০১০ সালের পুঁজিবাজার কারসাজিতে কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়েছিল। অনেকেই শাস্তি পেয়েছে।
পুঁজিবাজার কারসাজির তদন্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পরিচালনা করে। তারা তদন্তে জড়িতদের চিহ্নিত করে।
কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে জরিমানা এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিছুদের শেয়ার বাজারে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
কারসাজির ফলে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন ঘটে। বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হন।
পুঁজিবাজারে কারসাজির ঘটনা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। ২০১০ সালের পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত।