আনন্দ খবর ডেস্ক প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:০৯ এএম
গত পাঁচই আগস্টে তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ দেশের সংবিধানে নির্ধারিত হয়নি। বিস্তারিত জানুন এখানে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র বা এ ধরণের পরিস্থিতি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান এক ধরনের কর্তৃত্ব নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে।
গণ-আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে খুবই প্রভাবিত করেছে। সাধারণ জনগণ তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপ দেশের সংবিধানে নির্ধারিত নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে। তবে, সংবিধানে এর নির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই।
এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংবিধান সংশোধন করা জরুরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংবিধানে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্পষ্ট বিধান থাকা উচিত।
সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হতে পারে। এই কমিটি দেশের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব তৈরি করবে।
সংসদ এই প্রস্তাব অনুমোদন করতে হবে। সংসদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানে সংশোধনী আনা হবে।
জনগণের মতামতও সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণ করা যেতে পারে।
সাংবিধানিক সংকটের সম্ভাবনা : শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে। কারণ, সংবিধানে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই।
সেনাপ্রধানের কর্তৃত্ব: উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান এক ধরনের কর্তৃত্ব নিয়েছেন। এটি সাংবিধানিক সংকটের একটি উদাহরণ হতে পারে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সংবিধান সংশোধন করা জরুরি।