বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন যে, শুনানির তারিখ এগিয়ে আনতে আপিল বিভাগে আগামী রোববার আবেদন করা হবে। তিনি জানান যে, এই পদক্ষেপটি আইনি প্রক্রিয়ার দ্রুততার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত) ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে। শুনানির তারিখ এগিয়ে আনতে আপিল বিভাগে আগামী রোববার আবেদন করার জন্য নির্দেশের কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে গণভবন থেকে বেরিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘোষণা দিতে বলেছেন যে, আগামী ৭ আগস্ট যে মামলাটি শুনানির কথা ছিল, সেই মামলার শুনানি এগিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে। আমি সে মর্মে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছি যে, আগামী রোববার তিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আবেদন করবেন, যাতে মামলাটির শুনানির তারিখ তাঁরা এগিয়ে আনেন।’

কোটা পদ্ধতির পটভূমি

কোটা পদ্ধতি বাংলাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

কোটা পদ্ধতির ইতিহাস

কোটা পদ্ধতি প্রথম প্রবর্তন করা হয় স্বাধীনতার পরে। এটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়েছে।

বর্তমান কোটা পদ্ধতি

বর্তমানে কোটা পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা নির্ধারিত আছে।

শুনানির তারিখ এগোনোর প্রস্তাব

আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোববার একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে শুনানির তারিখ এগোনোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আবেদনের কারণ

আবেদনে বলা হয়েছে, কোটা পদ্ধতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তা নিয়ে দ্রুত শুনানি করা প্রয়োজন।

আদালতের প্রতিক্রিয়া

আদালত এই আবেদন বিবেচনা করবেন। শুনানির তারিখ এগোনোর সিদ্ধান্ত নেবেন।

জনমত ও প্রতিক্রিয়া

কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন মহলের মতামত রয়েছে। কেউ এই পদ্ধতির সমর্থন করেন। আবার কেউ এর বিরোধিতা করেন।

সমর্থকদের মতামত

সমর্থকদের মতে, কোটা পদ্ধতি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়ক। এটি তাদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ দেয়।

বিরোধিতাকারীদের মতামত

বিরোধিতাকারীদের মতে, কোটা পদ্ধতি মেধার মূল্যায়ন কমায়। এটি মেধাবীদের প্রতি অবিচার করে।

কোটা পদ্ধতির ভবিষ্যৎ

কোটা পদ্ধতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন মহল থেকে প্রস্তাব আসছে।

সম্ভাব্য পরিবর্তন

কোটা পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোটা হ্রাস বা বৃদ্ধি।

জনমতের ভিত্তি

জনমতের ভিত্তিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সাধারণ জনগণের মতামত গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার

কোটা পদ্ধতি বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি নিয়ে আদালতের রায় এবং জনমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কোটা শ্রেণী শতাংশ
মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরি ৩০%
নারী সরকারি চাকরি ১০%
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সরকারি চাকরি ৫%
প্রতিবন্ধী সরকারি চাকরি ১%

সর্বশেষ, আইনমন্ত্রীর এই প্রস্তাব কোটা পদ্ধতি নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।

Frequently Asked Questions


কোটা নিয়ে শুনানির তারিখ কখন?


শুনানির তারিখ এগোতে আপিল বিভাগে রোববার আবেদন করা হয়েছে।


কোন মন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন?


আইনমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন।


কোন আদালতে আবেদন করা হয়েছে?


আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।


কেন শুনানির তারিখ এগোনোর আবেদন?


কোটা বিষয়ে দ্রুত শুনানির জন্য।

news