বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা হোক। এই বিক্ষোভে সারা দেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আরও চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এই চারজনের মরদেহ রয়েছে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, চারজনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। দুজনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন...

এর আগে উত্তরায় পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া যায়। তাঁদের একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং আরেকজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যান। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে। এ ছাড়া রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় একজন, সাভারে একজন ও মাদারীপুরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল ১০ জনের।

কোটা পদ্ধতি কী?

কোটা পদ্ধতি একটি বিশেষ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত পদ থাকে। এই পদগুলো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত।

  • মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
  • নারী
  • প্রতিবন্ধী
  • আদিবাসী

শিক্ষার্থীদের দাবি

শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, এই পদ্ধতি অন্যায্য। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি পাচ্ছে না।

শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবিগুলো:

  1. মুক্তিযোদ্ধার কোটা ৩০% থেকে ১০% করা হোক
  2. কোটার সংখ্যা কমানো হোক
  3. কোটার মেয়াদ নির্ধারণ করা হোক
  4. কোটার অপব্যবহার বন্ধ করা হোক

বিক্ষোভের ঘটনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথম বিক্ষোভ শুরু করে। পরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেয়। বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

উত্তরা হাসপাতালের ঘটনা

উত্তরায় একটি হাসপাতালে চারটি মরদেহ পাওয়া গেছে। এই মরদেহগুলো বিক্ষোভের সময় আহতদের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর তারা মারা যায়।

সারা দেশে নিহত ১০

বিক্ষোভের কারণে সারা দেশে ১০ জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক বেশি।

বিক্ষোভের প্রভাব

এই বিক্ষোভের কারণে সারা দেশে যানবাহন বন্ধ থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

সামাজিক মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেয়েছে। অনেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে মত প্রকাশ করেছে।

কোটা সংস্কারের সম্ভাবনা

সরকার কোটা পদ্ধতি সংস্কার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।

সংস্কারের প্রস্তাব:

বর্তমান কোটা প্রস্তাবিত কোটা
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ১০%
নারী ১০% নারী ৫%
প্রতিবন্ধী ১% প্রতিবন্ধী ২%
আদিবাসী ৫% আদিবাসী ৩%

শেষ কথা

কোটা সংস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত। এতে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাবে। দেশের উন্নয়ন হবে।

 

Frequently Asked Questions

কেন শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের জন্য বিক্ষোভ করছে?

কোটা সংস্কার শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন। এটি চাকরির ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করে।

উত্তরায় কিভাবে আরও চার মরদেহ পাওয়া গেল?

উত্তরায় হাসপাতালের মর্গে আরও চার মরদেহ পাওয়া গেছে। এই মরদেহগুলো বিক্ষোভের সময় নিহতদের।

সারা দেশে মোট কজন নিহত হয়েছে?

সারা দেশে বিক্ষোভের সময় মোট ১০ জন নিহত হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল কারণ কী?

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল কারণ হলো চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো

news